‘এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের, দ্যাট ইজ মাই স্টাইল’

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। কমেডি আর অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সবার কাছেই পরিচিত তিনি। অসংখ্য দর্শকপ্রিয় নাটক উপহার দিয়ে আজ তিনি শীর্ষ অভিনেতাদের একজন।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই গল্পের তুলনায় কমেডিতেই বেশি নজর দিয়েছেন। তার দরুণ পেয়েছেনও আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তবে দিন বদলেছে, ছোট পর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংখ্যা এখন নেহাতই কম নন। নানান ধরণের গল্পের নাটক নির্মিত হওয়ায় এখন আর কমেডি নাকটে কম ঝুঁকছেন দর্শকরা।

আর তাই তো মোশাররফ করিমকে নিয়ে অনেকের অভিযোগ, তিনি একঘেয়ে অভিনয় করছেন। অনেক বছর ধরেই একই টাইপের নাটকে দেখছি তাকে। সুন্দর গল্প এবং বার্তা নির্ভর নাটকে খুব কমই দেখা যায় তাকে। একঘেয়েমি চরিত্র থেকে বেরিয়ে না আসলে একটা সময় মোশাররফ করিমের জনপ্রিয়তা শূণ্যের কোঠায় নেমে আসবে বলেও অভিযোগ অনেকের।

দর্শকদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে মোশাররফ বলেন, একঘেয়ে অভিনয় নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। এরকম অভিযোগ গত ৭/৮ বছর ধরেই নিয়মিত শুনে আসছি। এমন অভিযোগের উত্তরে আমি বলতে চাই, আমরা যারা এসএম সুলতানের আঁকা ছবি দেখি তা কিন্তু দেখলেই চিনতে পারি। ছবিতে যদি এসএম সুলতানের সাইন নাও থাকে তবু আমরা দেখেই ধরে নিতে পারি এটা তার আঁকা। এটা কেনো বলে দিতে পারি? হ্যাঁ, এটা তার স্টাইলের কারণে। তার স্টাইল আমাদের পরিচিত। আবার ঔপন্যাসিকের নাম নেই, হয়তো ছিঁড়ে গেছে। কিন্তু তার উপন্যাসের দুই পৃষ্টা পড়েই আমি বলে দিতে পারি যে এটা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা। কেনো বলে দিতে পারি? কারণ, তার লেখার স্টাইল আলাদা। দুই লাইন পড়েই বলে দেয়া যায় এটা কার স্টাইল। তো স্টাইল আর টাইপ দুইটা বিষয়ের মধ্যেতো পার্থক্য আছে! আছে না!

এখন আমি হাসলে যদি আপনি মনে করেন যে এটা উত্তম কুমারের মতো করে ফেলবো এটাতো সম্ভব হবে না। কারো দ্বারাই সম্ভব না। অমিতাভ বচ্চন যখন অভিনয় করেন, তখনতো তার একটা আলাদা স্টাইল আছে। আল পাচিনোর আলাদা একটা স্টাইল আছে। প্রত্যেকের আলাদা একটা স্টাইল আছে। এই যে এই অভিনেতারা ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন, কিন্তু ওইসব চরিত্রের মধ্যে উনারাও থেকে যান। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই, আমি যখন কোনো চরিত্রে অভিনয় করি তখন আমিও সেটা ধারণ করি। তারমধ্যেও মোশাররফ করিম থেকে যান। তাই বলতে চাই ‘দ্যাট ইজ মাই স্টাইল’।